লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে

 মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার খাবারলিচু খেলে কি ওজন বাড়ে এ বিষয়ে আমরা অনেকেই জানিনা। লিচু আমাদের দেশের অত্যন্ত পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। লিচুর খাওয়ায় আমাদের শরীরের বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে থাকে, এর মধ্যে ওজন বৃদ্ধি হওয়া একটি।

লিচু-খেলে-কি-ওজন-বাড়েসাধারণত লিচু একটি মৌসুম ভিত্তিক অত্যন্ত সুস্বাদু এবং মিষ্টি জাতীয় একটি ফল। এটি খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক পুষ্টিগুণ বৃদ্ধি এবং শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য খুবই কার্যকরী। এক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে, তাই এটি জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে আমাদের সাথেই থাকুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে

লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে

আমাদের দেশের গ্রীষ্মকালীন একটি ফল হল লিচু, লিচু মূলত খুবই সুস্বাদু এবং মিষ্টি জাতীয় রসালো একটি ফল। লিচু খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী এবং স্বাস্থ্যসম্মত, কিন্তু আমাদের অনেকের মনেই একটা প্রশ্ন থাকে যে লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে ? সাধারণত লিচু যেহেতু একটি মিষ্টি জাতীয় ফল তাই আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে, এটি হয়তো অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং মেদ বাড়ানোর কারণ, আসলেই কি বিষয়টা এমন ?

আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত টেনশন দূর করার উপায়

লিচুতে মূলত খুবই কম ক্যালরি থাকে, কিন্তু এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। ফাইবার আমাদের হজমের সহায়তা করে পেটের অস্বস্তি কমানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফলে পরিমিত পরিমাণে লিচু খেলে এটি পেট সবসময় ভরিয়ে রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও কমে যায়। এক্ষেত্রে দেখা যায় লিচু যদি সঠিক পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি ওজন বাড়ানোর জন্য কোন শারীরিক সমস্যা তৈরি করবে না, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরের ওজনের ওপর প্রভাব পড়তে পারে। তাই আমাদের করণীয় লিচু খাওয়ার সময় অবশ্যই এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখা।

লিচু খাওয়ায় ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কারণ কি

লিচুতে সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফাইবার যেহেতু আমাদের শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং সব সময় পেটের অস্বস্তি কমিয়ে পেট ভরা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই লিচু পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কোন আশঙ্কা থাকে না। তবে পরিমাণ এর চেয়ে অধিক বা অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে ওজন বাড়ার ভূমিকা থাকে। কেননা লিচুর মধ্যে কিছু পরিমাণে সুগার এবং শর্করা রয়েছে, যদিও এটি শরীরের জন্য উপকারী কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে এটি ওজনের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তাই আমাদেরকে লিচু খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই এর পরিমাণের দিকে খেয়াল রেখে নির্দিষ্ট পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খেলে হজমেও সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্যকর এবং সুস্থভাবে জীবন যাপন করার জন্য লিচু খাওয়ার আগে অবশ্যই আমাদেরকে লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে এবং উপকারিতা, অপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

ওজন বাড়ানোর জন্য লিচু খাওয়া কতটুকু উপকারী

লিচুতে কিছু পরিমাণে সুগার এবং শর্করা থাকে, তাই পরিমিত পরিমাণের থেকে অধিক পরিমাণে লিচু খাওয়া শরীরের ওজন বাড়ানোর জন্য ভূমিকা রাখবে, কিন্তু এটি শরীরের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায় হবে না। কেননা লিচুর মধ্যে মূলত ফাইবার বেশি থাকে, আর এই ফাইবার বেশি থাকার কারণে লিচু খাওয়ার পর পেটের হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণে থেকে ওজন বৃদ্ধি হওয়ার কোন আশঙ্কা অনেক থাকে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে কিন্তু এটি স্বাস্থ্যসম্মত উপায় হবে না।

লিচু-খেলে-কি-ওজন-বাড়েতবে ওজন বাড়ানোর জন্য শুধু অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু না খেয়ে এর পাশাপাশি আমাদের শরীরে ক্যালরি এবং শর্করা সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। ক্যালরি এবং শর্করা সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ডিম, দুধ, বাদাম এবং শাকসবজি ইত্যাদি। এসকল খাবার শরীরের পুষ্টিগুণ বজায় রেখে ওজন বাড়াতে বেশ কার্যকরী। তাই আমাদের উচিত অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু না খেয়ে পরিমিত পরিমাণ বজায় রাখার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খেয়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে উপায়ে ওজন বাড়ানোর প্রচেষ্টা করা। কেননা শুধু লিচু খেয়ে ওজন বাড়ানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

লিচুতে কি ধরনের ক্যালরি আছে যা ওজন বৃদ্ধি করে

লিচুতে মূলত ক্যালোরি অত্যন্ত অল্প পরিমাণে থাকে, যতটুক পরিমাণ থাকে তা হল প্রাকৃতিক চিনি। সাধারণত এই ধরনের ক্যালরি আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে বা পরিমাণের চেয়ে বেশি খাওয়ার ফলে এটি আমাদের শরীরে জমে যেতে থাকে, যা পরবর্তীতে শরীরের ওজন বৃদ্ধি হওয়ার জন্য সহায়তা করে। 

এক্ষেত্রে যদি আমাদের প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে লিচু খাওয়া হয়, তাহলে শরীরে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ ধীরে ধীরে যোগ হবে এবং তা ওজন বাড়ানোর জন্য সহযোগিতা করবে। তবে লিচু খেয়ে ওজন বাড়ানো একটু কঠিন, কেননা লিচুর মধ্যে যে পরিমাণ ক্যালরি থাকে তা আমাদের দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রেই শেষ হয়ে যায়। তাই ওজন বাড়াতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে লিচু খাওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে।

লিচু কি শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে

গ্রীষ্মকালীন ফল লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আর আমরা জানি ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে লিচুর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি শরীরের মেটাবলিজম বাড়ানোর জন্যও বেশ কার্যকরী। এছাড়াও লিচুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে, আর এই ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে মেটাবলিজম কে দ্রুত সহায়তা করে। তবে শুধুমাত্র লিচু খাওয়া শরীরের মেটাবলিজমকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃদ্ধি করতে পারেনা, এক্ষেত্রে আপনি যদি লিচু খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন, তাহলে আপনার শরীরের মেটাবলিজম আরো ভালো থাকবে এবং পরিপূর্ণভাবে কাজ করবে।

ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লিচু কি নিরাপদ

লিচু যেহেতু একটি মিষ্টি জাতীয় রসালো ফল, তাই আমরা অনেকেই মনে করে থাকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য লিচু খাওয়া মোটে উচিত না। কিন্তু বিষয়টি এরকম না, ডায়াবেটিসের রোগীরাও লিচু খেতে পারবেন, তবে তাদেরকে অবশ্যই লিচুর পরিমাণ অনুযায়ী খেতে হবে। কেননা লিচুর মধ্যে কিছু পরিমাণে প্রাকৃতিক সুগার থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

লিচুর অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, তার মধ্যে একটি হলো এটি অত্যন্ত ফাইবার সমৃদ্ধ একটি ফল, এক্ষেত্রে পরিমিত পরিমাণ বজায় রেখে লিচু খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের পেটের অস্বস্তি দূর হবে এবং হজম শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি তাদের ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষ করে সকালের দিকে লিচু খাওয়া বেশি উপকারী হবে, মূলত এই সময়ে তাদের শরীরের তাদের বিপাকের হার বেশি থাকে। 

আরো পড়ুনঃ বড়দের খিঁচুনি হওয়ার ৫টি কারণ 

তবে লিচু খাওয়ার আগে অবশ্যই মনে রাখতে হবে বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খাবার খাওয়ার পর বা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লিচু খাওয়া মোটেও খাওয়া উচিত না, কারণ এতে লিচুর মধ্যে থাকা শর্করা তাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। মোটকথা ডায়াবেটিসের রোগীরাও অতিরিক্ত পরিমাণ এড়িয়ে স্বল্প পরিমাণে লিচু খেতে পারবে আর যদি তারা অতিরিক্ত পরিমাণে লিচু খায়, তাহলে ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিসের জন্য তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

শিশু বাচ্চাদের জন্য লিচু খাওয়া কতটুকু উপকারী

লিচু বিশেষ করে আমাদের দেশের ক্ষেত্রে ছোট বড় প্রায় সবারই একটি অত্যন্ত পছন্দীয় ফল। বিশেষ করে এটি বাচ্চাদের আরো বেশি পছন্দের। সাধারণত লিচু বাচ্চাদের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল, লিচুর মধ্যে থাকা শর্করা এবং ফাইবার শিশুদের হজমে সহায়তা করে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণ লিচু খাওয়ার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে হজমের সমস্যা বা ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাই শিশুদেরকে পরিমিত পরিমাণ অনুযায়ী লিচু খাওয়ানো তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

উল্লেখযোগ্য শিশুদেরকে লিচু খাওয়ানোর আগে অবশ্যই আমাদেরকে ভালোভাবে এর ছাল ছাড়িয়ে খাওয়াতে হবে, এবং খাওয়ানোর পর লিচুর বিচি তাদের হাতের নাগালের বাইরে রাখতে হবে। কেননা অনেক সময়ই লিচুর বিচি মুখে দেওয়ার কারণে গলায় আটকে অনেক জায়গায় বাচ্চাদের মৃত্যুর মতো ভয়াবহ খবর শোনা যায়। তাই বাচ্চাদের লিচু খাওয়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবকদের অবশ্যই এ বিষয়ে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।

ওজন বাড়াতে চাইলে কতটুকু লিচু খাওয়া উচিত

লিচু মূলত প্রচুর পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ একটি খাবার। তবে নির্দিষ্ট পরিমাণ লিচু খেলে এটি ওজন বাড়ানোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে আমরা যারা লিচু খেয়ে ওজন বাড়াতে চাই তাদের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ থেকে ৭ পর্যন্ত লিচু খাওয়া উচিত। কেননা লিচুর মধ্যে তুলনামূলকভাবে অনেক কম শর্করা এবং সুগার থাকে। আর লিচু খাওয়ার ফলে যে পরিমাণ শর্করা আমাদের শরীরে জমা হয়, তা প্রতিদিনের কার্যক্রমের সাথে শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আমাদেরকে মোটা হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লিচু খেতে হবে।

লিচু-খেলে-কি-ওজন-বাড়েতবে লিচু খাওয়ার আগে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে একেবারে বেশি পরিমাণে না খাওয়া, কেননা একেবারে একসাথে অনেকগুলো লিচু খেলে পেটের সমস্যা হয়ে বদহজম হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে নির্দিষ্ট পরিমাণ বজায় রেখে লিচু খাওয়ার পাশাপাশি শরীরের প্রতি যত্নশীল হতে হবে, আয়রন এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। যাতে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি জমা হয়ে স্বাস্থ্যকর ভাবে ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি হতে থাকে।

হজমের জন্য লিচু খাওয়া কতটুকু উপকারী

সাধারণত আমরা জানি লিচু অত্যন্ত কম ক্যালরি সম্পন্ন একটি ফল, এটি খাওয়ার পরে আমাদের শরীরে যে পরিমাণ ক্যালরি জমা হয় তা দৈনন্দিন কাজের মাধ্যমে আবার শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আমরা যারা লিচু খাওয়ার মাধ্যমে ওজন বৃদ্ধি করতে চাই, তাদের জন্য লিচুর সাথে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার মিশিয়ে খাওয়াই বেশি কার্যকরী হবে, কেননা এতে দেখা যাবে আমাদের শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি জমা হবে এবং ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকবে।

আরো পড়ুনঃ সকালে ব্যায়াম করার ১০ টি উপকারিতা

তবে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ওজন বাড়াতে চাইলে আমাদেরকে লিচু খেতে হবে পরিমাণ মতো এবং সঠিক উপায় অনুসরণ করে, কারণ শুধু লিচু অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে বেশি ওজন বাড়বে না বরং এর সাথে অন্যান্য পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, মধু, বাদাম এ সকল খাবার একসাথে মিশিয়ে খেলে এটি আমাদের শরীরে আরো পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যালরি বাড়াবে এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে ওজন বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে। 

লিচু খেয়ে ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে, একেবারে অনেকগুলো লিচু না খেয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ বজায় রেখে নিয়মিত খাওয়া, তাহলে লিচু খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের ওজনও বাড়বে পাশাপাশি শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সুস্থ থাকবে। তবে এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে এ বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।

লেখকের শেষ কথা

লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং আয়রন রয়েছে। এগুলো আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন সরবরাহ করে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। যেহেতু লিচুর মধ্যে প্রাকৃতিক চিনি এবং শর্করাও রয়েছে তাই, একটি পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধি করার উপায় আছে। মোটকথা লিচু পরিমাণ অনুযায়ী খেলে ওজন বাড়ে না তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে শরীরে ক্যালোরি বৃদ্ধি হয়ে ওজন বাড়ার কিছুটা আশঙ্কা থাকে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি লিচু খেলে কি ওজন বাড়ে এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এরকম আরও স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 37912


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url