কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা

মনের আশা পূরণের ইসমে আজমকুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা নিয়েই মূলত আজকের আমাদের এই আর্টিকেল। আল কুরআন এমন এক মহাগ্রন্থ পরশপাথর যার সংস্পর্শ সবাইকে ধন্য করে দেয়। এই মহান মহাগ্রন্থের অগণিত ফজিলত এবং উপকারিতা রয়েছে।

কুরআন-তেলাওয়াতের-ফজিলত-ও-উপকারিতাআল কুরআন তেলাওয়াতের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মহান আল্লাহ তায়ালাই আমাদেরকে দিয়েছেন এবং। কিভাবে আমাদেরকে কুরআন তেলাওয়াত করতে হবে এবং কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা কি তা সবকিছুই তিনি কুরআনের মধ্যে উল্লেখ করে দিয়েছেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা

কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা

কোরআন তেলাওয়াত করা এমন একটি মূল্যবান ইবাদত,যা  মানুষের অতীতের গুনাহ মাফ করায়, অন্তরে প্রশান্তি আনে এবং আল্লাহর কাছাকাছি নিয়ে গিয়ে অফুরন্ত ও বরকতময় জীবন দান করে। আল কুরআন হলো সমস্ত মানবজাতির উদ্দেশ্যে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিলকৃত সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ কিতাব, এটি মূলত মহান আল্লাহ তা'আলা আমাদের হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর উপর সমস্ত জাতির উদ্দেশ্যে নাযিল করেন। 

কুরআন এমন একটি কিতাব যা শুধুমাত্র আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থই নয় বরং একজন ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ সঠিক জীবন ব্যবস্থা গড়ে তোলার একটি আদর্শ। কুরআনের প্রতিটা শব্দ, প্রতিটা আয়াত এবং প্রতিটা সূরা আমাদের মানবজাতির জন্য হেদায়েত এবং রহমতের এক উল্লেখযোগ্য উৎস।তাই মহামূল্যবান এই আল কুরআন তেলাওয়াত করা শুধুমাত্র নেক কাজ নয় বরং আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হওয়ার এক বিশেষ ইবাদত, যে ইবাদতের ফজিলত ও উপকারিতা আমাদের দুনিয়া ও আখেরাত দুই জগতের জন্যই মঙ্গল বয়ে আনে। এই কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতার শেষ নেই, এর মধ্য থেকেই আমরা আজকের এই আর্টিকেলে এই মহামূল্যবান কুরআনে কারীম তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে সামান্য কিছু জানার চেষ্টা করব।

আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের সবচেয়ে সহজ উপায়

সাধারণত একজন মানুষের জীবনের সবচাইতে বড় সফলতা হলো মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জন করা, তাই আমাদের দুনিয়াবী সকল কাজ, সাধনা এবং ইবাদাত সবকিছুর মূল উদ্দেশ্য যেন কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ এবং পরকালে পরম শান্তিময় স্থান জান্নাতের অধিকারী হওয়া। মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ করার অনেক আমল এবং উপায় রয়েছে। এ সকল উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফজিলত পূর্ণ উপায় হল মহাগ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা, এছাড়াও আল কুরআন তেলাওয়াত করা এমন একটি ইবাদত যা আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হিসেবে গড়ে উঠতে বরকতময় ভূমিকা পালন করে।

আরো পড়ুনঃ কোন সূরা পড়লে টেনশন দূর হয়

কেননা কুরআন আল্লাহ তায়ালার নাযিলকৃত বানী, সুতরাং আমরা যখন কোরআন তেলাওয়াত করি তখন সরাসরি আল্লাহ তাআলার সাথে কথা বলি তার বাণী শুনি এবং আমাদের হৃদয়ে ধারণ করি। এ প্রসঙ্গে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন '' যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করে এবং তাতে দক্ষ, সে সম্মানিত ফেরেশতাদের সাথে থাকবে। আর যে ব্যক্তি অশুদ্ধ উচ্চারণে কষ্টসহ শিখতে শিখতে তেলাওয়াত করে তার জন্য দ্বিগুন সওয়াব ''{ সহিহ মুসলিম, হাদিস ৭৯৮} সুতরাং এই হাদীস থেকে বোঝা যায় কোরআনে কারীম তেলাওয়াত করলে আল্লাহ তা'আলা তার বান্দার উপর খুশি হন এবং সম্মানিত করেন।

কোরআন তেলাওয়াতের মানসিক উপকারিতা 

কোরআন তেলাওয়াত মানসিক শান্তির এক অন্যতম ইবাদত। হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি নিয়মিত কুরআন পাঠ করে, সেই ব্যক্তি কোন সময়েই অকেজো বয়সে পৌঁছাবে না।{ সহিহ আত তারগিব লিল আলবানি} হাদিস নং ১৪৩৫। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই হাদিসের মানে হলো।

কুরআন-তেলাওয়াতের-ফজিলত-ও-উপকারিতাযদি কোন ব্যক্তি শান্ত স্থিরভাবে কুরআন তেলাওয়াত করে, তাহলে তার মস্তিষ্ক ওই কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে নিরন্তর খাদ্য গ্রহণ করে থাকে। আর এই খাদ্যই মানুষের শরীরকে শক্তি জোগাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং এখান থেকে বোঝা গেল যে যখন একজন ব্যক্তি নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করবে তার মস্তিষ্ক সবসময় অটল থাকবে। সে যদি বৃদ্ধ বয়সেও যায় তারপরেও তার মন মানসিকতা এবং মস্তিষ্ক কখনো দিনের উপর থেকে বঞ্চিত হবে না।

মোটকথা আমরা যদি নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করি তাহলে আমাদের মস্তিষ্ক খাদ্য গ্রহণ করার জন্য সব সময় সুস্থ এবং সচল থাকবে। আমাদের মন-মানসিকতা সবসময় আল্লাহর প্রতি অনুগত থাকবে এবং সৃষ্টিশীল চিন্তাধারার খাদ্য লাভ করবে। খাদ্য যেমন শরীরকে শক্তি যোগায় ঠিক তেমনি একজন মুমিন ব্যক্তির জন্য কোরআন তেলাওয়াত তার মস্তিষ্ককে শক্তি জুগিয়ে মানসিক শান্তি প্রদান করে।

কোরআন তেলাওয়াতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে কিনা

আমরা জানি কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক এক ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে। আর এই খাদ্য গ্রহণ করার কারণেই আমাদের মন মানসিকতা অনেক সুস্থ এবং সচল থাকে। এখন আপনার নিজের কাছে প্রশ্ন থাকতে পারে কিভাবে কোরআন তেলাওয়াতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ? মূলত একজন মানুষ যখন নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করবে তখন তার মস্তিষ্ক এক ধরনের ব্যায়াম পাবে। এই ব্যায়াম পাওয়ার ফলে তার স্মৃতিশক্তি অনেক স্থিতিশীল এবং মজবুত হবে।

সাধারণত কোরআন তেলাওয়াতে স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিতে হবে, তা হলো মনোযোগ ও একাগ্রতা। আমরা যদি মনোযোগ ও একাগ্রতা সহকারে কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করি তাহলে আমাদের নিজেদের মস্তিষ্কের একাগ্রতা এবং ধৈর্য শক্তি বাড়বে। আর এই একাগ্রতা বেড়ে যাওয়ার কারণে স্মৃতিশক্তি অনেকটা মজবুত হবে।

অনেক দার্শনিকদের গবেষণায় দেখা গেছে যে আল কুরআনুল কারীমের প্রতিটা হরফ, শব্দ এবং আয়াতের মধ্যে এমন এক ধরনের প্রশান্তি আছে, যা মানুষের স্ট্রেস কমায় এবং তাদের মন মানসিকতা অনেক শান্ত রাখে। ফলে এখানেও মানসিক স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হওয়ার কারণ রয়েছে। তাই আমরা যদি নিয়মিত কুরআনে কারীম তেলাওয়াতে অভ্যস্ত হতে পারি, তাহলে আমাদের স্মৃতিশক্তি অধিকারের বৃদ্ধি হবে, পাশাপাশি মন মানসিকতা ভালো থাকার জন্য সুস্থ সবল জীবনধারা বজায় রাখতে পারবো।

গুনাহ মাপের অন্যতম মাধ্যম কোরআন পড়া

কুরআনে কারিম তেলাওয়াত করা শুধুমাত্র একটি ইবাদত নয়, একজন মুসলমান মুমিন ব্যক্তির গুনাহ মাফের এক অনন্য মাধ্যম। কুরআনে কারিম সম্পূর্ণ আল্লাহ তাআলার কথা, তার আদেশ এবং নিষেধের কথা। সুতরাং একজন মুমিন বান্দা যখন কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করে তখন তার অন্তর সম্পূর্ণভাবে আল্লাহ তাআলার দিকে ফিরে যায়, তার মন মানসিকতা, ধ্যান সবকিছু আল্লাহর তাআলার আনুগত্যের দিকে ধাবিত হয়ে এবং ধীরে ধীরে তার বাস্তবিক জীবনে আমলের দরজা খুলে যায়।

ফলে মহান আল্লাহ তায়ালা তার পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত , হৃদয় ধারণ করা এবং জীবনে বাস্তবায়ন করার করার জন্য তার বান্দার অতীতের সকল গুনা মাফ করে দেন, তার অন্তরের মধ্যে এক নূর দান করেন। তাই আমাদের উচিত কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা, নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করা তার অর্থ বোঝা এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবনে গড়ে তোলা। তাহলেই আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে মঙ্গল রয়েছে।

আখিরাতের ময়দানে কোরআনের সুপারিশ

কুরআনে কারিম আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে সকল মানবজাতির জন্য পাঠানো সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব। কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা যেমন দুনিয়াতেও এর অনেক ফজিলত উপকারিতা রয়েছে। আখেরাত তথা পরকালেও কুরআনের অনেক ভূমিকা ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে যে সকল ব্যক্তিগণ দুনিয়াবী জীবনে কুরআনে কারিমকে নিজের সঙ্গী বানা, কোরআনের জ্ঞান অনুযায়ী নিজের জীবনকে পরিচালিত করবে কাল আখেরাতের ময়দানে কুরআন তাদের পক্ষে সুপারিশ করবেন।

আরো পড়ুনঃ নামাজে সূরা পড়ার নিয়ম

এ প্রসঙ্গে হযরত আবু উমামা বাহিলি রাজিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইসাল্লাম বলেছেন ''তোমরা কুরআনে কারিম তেলাওয়াত কর, কেননা কুরআনে কারীম আখিরাতের দিন তার সঙ্গীর জন্য সুপারিশ করবেন''{ সহীহ মুসলিম ৮০৪, মিশকাত ২১২০} তাই আমাদের উচিত নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে কুরআনের সাথে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং আল্লাহর হুকুম আহকাম সমূহ মেনে জীবন যাপন করা।

ঘরে কুরআনে কারিম রাখলে যে সকল বরকত আসে

মহাগ্রন্থ আল কুরআন আল্লাহ তায়ালার বাণী, যা আমাদের জীবনধারাকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য এক পূর্ণাঙ্গ দিক নির্দেশিকা। এটা শুধুমাত্র আমাদের মুসলমানদের জন্য নয়, সমগ্র মানবজাতির হেদায়েতের জন্যই আল্লাহ তা'আলা আল কুরআনকে পাঠিয়েছেন। এক্ষেত্রে আমাদের ঘরের মধ্যে এই মহাবানী আল কুরআন রাখা মানে শুধু একটি বই না বরং মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত ও বরকতেরও মাধ্যম।

যেমন যেই ঘরের মধ্যে কুরআন থাকে, সেই ঘরে আল্লাহর পক্ষ থেকে অনবরত শান্তি এবং নিরাপত্তা নাযিল হয়, ওই ঘরেতে ফেরেশতারা প্রবেশ করে আর শয়তান পালিয়ে যায়। বিশেষ করে যে ঘরের মধ্যে মহাগ্রন্থ আল কুরআন রাখা হয়, সেই পরিবারের সবাই ধীরে ধীরে আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভের দিকে ঝুঁকতে থাকে। আর যেই ঘরে কুরআনে কারিম রাখা হয় সেই ঘরের মধ্যেই যদি নিয়মিত এটি তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে দুনিয়ার বুকে বেহেশতের মতো শান্তির জায়গায় পরিণত হয় সেই ঘরটি।

আজকাল আমরা দুনিয়ার সামান্য কিছু সুখ শান্তি খোঁজার জন্য নানা পথে ছুটি, কিন্তু সত্যিকারের শান্তি, মানুষিক তৃপ্তি কোরআনের মধ্যেই লুকিয়ে আছে। তাই আমা পরিচালনা করতে পারাইদের উচিত সকলের ঘরে কুরআনে কারীম রাখা এবং নিয়মিত সেটির তেলাওয়াত করা। কুরআন তেলাওয়াত করার পাশাপাশি তার অর্থ বুঝে নিজের জীবনকে কুরআনের নির্দেশিকা অনুযায়ী পরিচালনা করতে পারাই একজন মুসলমানের সবচেয়ে বড় সাফল্য।

মোবাইল দিয়ে কুরআন তেলাওয়াত করার উপায়

বর্তমান সময়ের তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের জীবনের অনেক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। এই তথ্য প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক অসম্ভব জিনিস কেউ খুব সহজেই হাতের নাগালে এনে দিয়েছে, যা আমাদের জীবনকে আরো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বর্তমান সময় আমরা অনেকেই আছি যারা মোবাইল দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করতে চাই, সাধারণত মোবাইল দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করার কোন নিষেধ না, এটিও জায়েজ। সুতরাং মোবাইল দিয়ে যদি কোরআনে কারীম তেলাওয়াত করা হয়, তাহলে কোন সমস্যা হবে না নির্দ্বিধায় তিলাওয়াত করা যাবে। কারণ মোবাইল দিয়ে কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা কোন দিক দিয়ে কম নেই।

কুরআন-তেলাওয়াতের-ফজিলত-ও-উপকারিতামোবাইল দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করার জন্য বর্তমানে অনেক ধরনের কুরআনের অ্যাপস পাওয়া যায়, যেগুলো ব্যবহার করে সাধারণত ভাবেই মহাগ্রন্থ আল কুরআন তেলাওয়াত করা যায়। তবে এ সকল অ্যাপ থেকে কুরআন তেলাওয়াত করার আগে একজন অভিজ্ঞ আলেমের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কেননা বর্তমান সময়ে এরকম অনেক অ্যাপস আছে যেগুলোর মধ্যে অনেকটাই ভুল এবং অশুদ্ধ মিশ্রিত। তাই একজন মুমিন হিসেবে মোবাইল দিয়ে কোরআন তেলাওয়াত করার আগে অবশ্যই অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে আমাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিভাবে কোরআন তেলাওয়াত অভ্যাসে পরিণত করতে হয়

প্রত্যেকটা মুসলমানের জন্য কুরআনে কারিম তেলাওয়াত করা শেখা আবশ্যক। কেননা কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে অনেক। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো আমরা অনেকেই আছি যারা কুরআন তেলাওয়াত করতে পারি কিন্তু নিয়মিত তেলাওয়াত করার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারছিনা। যার কারণে আমাদের নিজেদের কাছেই অন্যরকম এক খারাপ অনুভূতি অনুভূতি হয়। যে আমি কুরআনে কারীম সঠিকভাবে পড়তে পারি অথচ নিয়মিত তেলাওয়াত করার অভ্যাস নেই।

আরো পড়ুনঃ সুরা ইয়াসিন এর ফজিলত

কুরআন তেলাওয়াত অভ্যাসে পরিণত করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদেরকে যা করতে হবে, তা হলো লক্ষ্য স্থির রেখে আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করতে হবে। আপনার লক্ষ্যটি এমন হবে যে, যা কিছুই ঘটুক না কেন কোন সময় কুরআন থেকে আপনি দূরে সরে যাবেন না, কোরআনের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলবেন মানে তুলবেনি এবং সে অনুযায়ী নিজের জীবনকে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন। লক্ষ্য ঠিক রেখে আল্লাহতালার কাছে দোয়া করলে তিনি অবশ্যই আমাদের দোয়া কবুল করে কোরআনের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার তৌফিক দান করবেন। আমিন

লেখক এর শেষ কথা

মহাগ্রন্থ আল-কোরআন আল্লাহ তা'আলা শুধুমাত্র আমাদের মুসলমানদের জন্য না বরং সমগ্র মানবজাতির হেদায়েতের জন্য পাঠিয়েছেন। কুরআনে কারীম শুধু একটি বই না এটি আল্লাহ তাআলার দেওয়া হুকুম আহকাম। এর অগণিত ফজিলত ও উপকারিতা রয়েছে। যার কোন শেষ নেই। তাই আমাদের উচিত কুরআনের সাথে ভালো সম্পর্ক রেখে নিয়মিত তেলাওয়াত করা এবং আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি লাভ লাভ করার জন্য দোয়া করা।আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি কুরআন তেলাওয়াতের ফজিলত ও উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো ইসলামিক জ্ঞানভিত্তিক তথ্য জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।37912


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url