মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়

 বর্ষসেরা ১৫টি সেরা স্মার্টফোনমোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় সম্পর্কে বর্তমান সময়ে আমরা অনেকেই জানিনা। আর এই উপায়গুলো না জানার কারণে অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মোবাইলের ব্যাটারির খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়, যা অনেক সময় আমাদের সমস্যার একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

মোবাইলের-ব্যাটারি-দীর্ঘস্থায়ী-করার-উপায়সাধারণত মোবাইল আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, কিন্তু এর বিরক্তিকর সমস্যাগুলোর মধ্যে একটি হলো ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া, তাই চলুন আমরা মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় এবং কিভাবে এই বিরক্তিকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা যায় তা জেনে নেই।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়

মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়

প্রযুক্তির এই যুগে মোবাইল ফোন শুধুমাত্র আমাদের যোগাযোগের একটি মাধ্যম না বরং এটি আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে কাজ করে। যেমন চাকরি, পড়াশোনা, ব্যবসা বা বিনোদন ইত্যাদিসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা যায় মোবাইল ফোনের একটা ভূমিকা আছে। কিন্তু এখানে অনেকেই আমরা এই মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি সাময়িক সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকি, যেই সমস্যাটি হল মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী না থাকা বা দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া।

বিশেষ করে আমরা যখন বাড়ির বাহিরে থাকি বা গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে ব্যস্ত থাকি ওই সময় যদি আমাদের মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়, তাহলে দেখা যায় ওই সময় আমাদের এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। তাই এই পরিস্থিতি অবলম্বন করতে মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

আরো পড়ুনঃ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ গোপন ফিচার

সাধারণত আমরা অনেকেই মনে করে থাকি মোবাইল ব্যবহারে ধীরে ধীরে এর ব্যাটারির আয়ু কমে যাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু মোটেও বিষয়টি এমন না, কেননা বেশ কিছু নিয়ম বা উপায় অবলম্বন করে মোবাইল ব্যবহারের ব্যাটারির আয়ু কমানো না বরং বাড়ানো এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার করাও সম্ভব। তাই চলুন আমরা আর দেরি না করে মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় সম্পর্কে ধাপে ধাপে বিস্তারিত জেনে নেই।

মোবাইলের ডিসপ্লে সেটিং করে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়

মূলত একটি মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী না রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হলো ডিসপ্লে। কেননা একটি মোবাইলের সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খরচকারি মাধ্যমই হলো এই ডিসপ্লে। এক্ষেত্রে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে কিভাবে ডিসপ্লে মোবাইলের সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খরচ করে। মূল বিষয়টি হলো আমরা অনেকেই আমাদের মোবাইলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য ডিসপ্লের আলো অতিরিক্ত বৃদ্ধি করে রাখি, যার কারণেই অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা যদি ছোট্ট একটি সেটিংস ব্যবহার করি তাহলে, মোবাইলের ব্যাটারি অনেকটাই দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব।

মোবাইলের-ব্যাটারি-দীর্ঘস্থায়ী-করার-উপায়সাধারণত একটি মোবাইলের ডিসপ্লে সেটিং পরিবর্তন করার জন্য প্রথমেই আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে স্কিনের ব্রাইটনেসের দিকে, কেননা অনেকেই আমরা অটোমেটিক ব্রাইটনেস চালু করে রাখি যা প্রায় সবসময় উচ্চ উজ্জ্বলতা বজায় রাখে এবং মোবাইলের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলে। এক্ষেত্রে আমরা যদি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইলের ব্রাইটনেস একটু কমিয়ে রাখি তাহলেই কিন্তু ব্যাটারির উপর চাপ কম পড়ে এবং অনেকটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়।

ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে ডিসপ্লে সেটিং করার ক্ষেত্রে আমাদের আরেকটি যে বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল স্কিন টাইম আউট সেটিং। মূলত এটি করার কারণ হলো আমরা যদি কোন কারণ ছাড়াই আমাদের ফোন অযথা চালু করে রাখি এর প্রভাব কিন্তু অবশ্যই ব্যাটারির উপর পড়বে ফলে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব অনেকটাই কমে যাবে, এক্ষেত্রে আমরা যদি স্কিনের টাইম আউট সেটিং ১০ থেকে ২০ সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার টাইমার সেট করে দেই তাহলে কিন্তু ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়বে না এবং এটি দীর্ঘ সময় স্থায়ী থাকবে।

মোবাইলের অটো সিল্ক বন্ধ করে যেভাবে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করব

হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা মোবাইলের অটো সিল্ক ফিচারটি কিভাবে কাজ করে বা কোথায় কাজ করে। মূলত অটো সিল্ক এমন একটি ফিচার যা সব সময় মোবাইলের ব্যাকগ্রাউন্ড এ কাজ করে এবং ব্যাটারির উপর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এখন হয়তো আপনার মাথার মধ্যে চিন্তা আসতে পারে কোন সময়ে ফিচারটি কাজ করে। সাধারণত অটো সিল্ক ফিচার এর মূল কাজই হল একটি মোবাইলের ইমেইল, ফেসবু্‌ক, গুগল একাউন্ট সহ অন্যান্য অ্যাপ গুলোর তথ্য নিজে নিজেই আপডেট রাখা। 

এক্ষেত্রে দেখা যায় আপনি কোন নোটিশ না করলেও অটো সিল্ক ফিচার নিজে নিজেই আপনার মোবাইল আপডেট অ্যাপগুলোর আপডেট করবে এবং এবং ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব আস্তে আস্তে কমিয়ে দিবে।এই অটো সিল্ক ফিচার বন্ধ করার জন্য প্রথমে আমাদেরকে মোবাইলের সেটিংস অপশনে গিয়ে Account and sync অপশনে ক্লিক করার পর Auto Sync Data অপশনটি অফ করে দিতে হবে। এটি করার কারণে মূলত দেখা যাবে আপনার ফোনের কোন অ্যাপ বা একাউন্ট অটোমেটিক আপডেট হবে না এতে দেখা যাবে আপনার ফোনের ব্যাটারির অনেকটা দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।

মোবাইলের ব্রাইটনেস লেভেল বজায় রেখে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায়

বর্তমান প্রযুক্তির এই অগ্রযাত্রায় মোবাইল ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অন্যতম পরিবর্তক হিসেবে কাজ করছে। সেই হিসেবে দেখা যায় আমরা অনেকেই প্রতিনিয়ত বা প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। আর এই মোবাইল ব্যবহার করার সময় দ্রুত ব্যাটারি শেষ হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে মোবাইলে স্কিনের ব্রাইটনেস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে আমরা যদি আমাদের মোবাইলের এই ব্রাইটনেস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি তাহলে ব্যাটারি অনেকক্ষণ স্থায়ী হবে।

সাধারণত মোবাইলের স্কিন ব্রাইটনেস বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী যে উপায়টি হলো অটো ব্রাইটনেস। অটো ব্রাইটনেস গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এটি এমন একটি ফিচার, যে ফিচারটি অন করলে ফোন নিজের পরিবেশ অনুযায়ী আলো কম অথবা বেশি করে নেয়, ফলে কোন সময়েই মোবাইলের স্ক্রিনে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আলো দেয় না ফলে ব্যাটারির উপর চাপ ও কম পড়ে এবং এটি স্থায়ীও হয়। 

আরো পড়ুনঃ অফিসিয়াল ফোন চেনার উপায়

অন্যদিকে মোবাইলের স্কিন ব্রাইটনেস অনেকটা কমিয়ে রাখাও ব্যাটারি দীর্ঘ করার আরেকটি উপায়, কেননা আমরা অনেকেই মনে করি যে মোবাইলের স্কিনের আলো যত বেশি থাকবে মোবাইল তত বেশি সুন্দর দেখাবে কিন্তু বিষয়টি এরকম না স্ক্রিনের অতিরিক্ত আলো বাড়িয়ে রাখলে বরং মোবাইলের ব্যাটারির উপর প্রভাব পড়ে পাশাপাশি আমাদের চোখের সমস্যা তৈরিতেও ভূমিকা রাখে। তাই আমাদের করণীয় সবসময় মোবাইলের স্কিন ব্রাইটনেস বজায় রেখে ব্যবহার করা।

ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে পাওয়ার সেভিং মোড চালু করা

মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে পাওয়ার সেভিং মোট বেশ কার্যকরী একটি মাধ্যম। কেননা পাওয়ার সেভিং মোড এমন একটি ফিচার যে ফিচারটি যদি আপনি চালু করে থাকেন তাহলে আপনার মোবাইলের অপ্রয়োজনীয় কিছু কার্যক্রম নিজে নিজেই সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আপনার মোবাইলের ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ হবে না এবং এটি বেশ দীর্ঘস্থায়ীও হবে। সাধারণত এই পাওয়ার সেভিং মোড সব মোবাইলেই থাকে, তাই চাইলে আপনার মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারেন।

ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করতে মোবাইলের ডার্ক মোড কতটুকু কার্যকরী

সাধারণত একটি মোবাইলের কোন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট অথবা কোন ডকুমেন্ট এর মধ্যে ডার্ক মোড চালু করে দিলে সেটি হালকা গাড় এবং কালো রঙের হয়ে থাকে। মূলত সাদা উজ্জ্বল আলো থেকে এই ডার্ক মোডের আলো অনেকটাই কম ব্যাটারি খরচ করে। এছাড়াও এমনি সাধারণ উজ্জ্বল আলো থেকে ডার্ক মোড এর আলো চোখের ওপরও বেশি প্রভাব পড়ে না। তাই চাইলে আপনি আপনার মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়িত্ব করতে ডার্ক মোড অপশনটি চালু করতে পারেন। মোটকথা যেকোনো ডিভাইসের বা মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়িত্ব করতে ডার্ক মোড অপশন চালু করা বেশ কার্যকরী একটি উপায়।

মোবাইলের ব্যাটারি বেশি খরচ করা অ্যাপ কিভাবে চিনবেন জানুন

আমাদের অনেকের ক্ষেত্রেই এমন কিছু ঘটনা ঘটে থাকে যে মোবাইল ফুল চার্জ দেওয়ার পরেও কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা যায় এর চার্জ শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এমনটা কেন হয়, হয়তো এই বিষয়টি আমরা অনেকেই জানিনা। মূলত মোবাইলের মধ্যে এমন কিছু কিছু অ্যাপ থাকে যেগুলো অটোমেটিক মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ অতিরিক্ত খরচ করে। এখন হয়তো আপনার মনে প্রশ্ন থাকতে পারে যে কিভাবে বুঝব কোন অ্যাপগুলো ব্যাটারি বেশি খরচ করে এর দীর্ঘস্থায়িত্ব কমিয়ে দেয়।

মোবাইলের বেশি চার্জ খরচ করে এমন অ্যাপস চেনার জন্য প্রথমে আপনাকে মোবাইলের সেটিংস অপশনে প্রবেশ করে ব্যাটারি এবং ডিভাইস অপশনে ক্লিক করে নিতে হবে। পরবর্তীতে ব্যাটারি এবং ডিভাইস অপশনে ক্লিক করার পর Battery Usage নামে আরেকটি অপশন আসবে, মূলত এই অপশনটির মাধ্যমেই আপনি দেখতে পারবেন আপনার মোবাইল সর্বশেষ চার্জ দেওয়ার পরে কোন অ্যাপ কতটুকু ব্যাটারি খরচ করেছে। এবং এখান থেকে দেখেই আপনার অপ্রয়োজনি অ্যাপগুলো রিমুভ করে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়াতে পারবেন।

পুরনো ফোনে ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার কার্যকরী উপায়

অনেক সময় দেখা যায় আমরা আমাদের মোবাইলে দীর্ঘ সময় ধরে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকি, কিন্তু মোবাইলটি পুরাতন হওয়ায় ব্যাটারি বেশি দীর্ঘস্থায়িত থাকে না, এটি মূলত স্বাভাবিক একটি বিষয় কেননা একটি মোবাইল পুরনো হওয়ার পাশাপাশি ধীরে ধীরে তার ব্যাটারির কার্যক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়, যেমন মোবাইল কেনার প্রথম দিকে এর ব্যাটারি যতটা সময় টিকে পুরনো হয়ে যাওয়ার পর এত সময় এর কার্যক্রম চালু থাকে না।

মোবাইলের-ব্যাটারি-দীর্ঘস্থায়ী-করার-উপায়তবে এটি পুরনো হওয়ার পরেও বেশ কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে এর ব্যাটারি কিছু সময় দীর্ঘস্থায়িত্ব করা সম্ভব, যেমন অপ্রয়োজনীয় কোন সময় মোবাইলের ওয়াইফাই বা ব্লুটু থ চালু না রাখা, মোবাইল ব্যবহার করার সময় ছাড়া অন্য সময় এর ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখা এবং সব সময় চেষ্টা করা তাপমাত্রার আবহাওয়া থেকে পুরাতন মোবাইল গুলো দূরে রাখা, এগুলো করলে সাধারণভাবে পুরনো মোবাইলের ব্যাটারি কিছুটা দীর্ঘস্থায়িত্ব করা সম্ভব।

মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য কিছু পরামর্শ

কোন মূলত আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। কারণ আমাদের জীবনের প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই মোবাইল ফোনের ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে এটি ব্যবহারে প্রায় সময়ই আমাদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে এর ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী থাকে না, ভালো উন্নত ব্র্যান্ডের মোবাইল হওয়ার পরেও আমরা আমাদের মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়িত্ব করতে পারি না, তাই চলুন মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় সম্পর্কে কিছু পরামর্শ জেনে নেই।

  • একটি ফোন চার্জ দেওয়ার সময় অবশ্যই ফোনের সাথে দেওয়া ব্র্যান্ডের চার্জার ব্যবহার করা উচিত এবং অন্য কারো চার্জার বা আলাদা দোকান থেকে কিনে নেওয়া চার্জার সব সময় এড়িয়ে চলা উচিত, এতে করে দেখা যাবে ফোনের ব্যাটারি দ্রুত চার্জ হবে এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।
  • ফোন চার্জে লাগানোর পর সম্পূর্ণ চার্জ না হওয়ার আগে না খোলা, কেননা সম্পূর্ণ চার্জ না হওয়ার পর চার্জিং থেকে ফোন খুললে এর ব্যাটারি কার্যক্ষমতা সঠিকভাবে পূরণ হয় না ফলে এটি দীর্ঘস্থায়ীভাবে ব্যবহার করার সম্ভাবনাও অনেক কম থাকে।
  • সব ফোনের মধ্যেই ব্যাটারি সেভার নামে একটি অপশন থাকে, আপনি দীর্ঘ সময় ব্যবহারে যখন আপনার ফোনের চার্জ কমে আসবে কিন্তু আপনার ব্যবহারের এখনো প্রয়োজন আছে এমন সময় ব্যাটারি সেভার অপশনটি চালু করে দিতে হবে, এটি করলে মূলত অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ গুলো বন্ধ হয়ে যাবেন ব্যাটারির চার্জ দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।
  • যে কোন ফোনের চার্জ ৫ থেকে ১০% এ আসার আগে চার্জে না লাগানোই ভালো। কেননা ঘন ঘন মোবাইল চার্জে বসালে এর ব্যাটারি ওপর প্রভাব পড়ে এবং দ্রুত ব্যাটারি ক্ষমতা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

লেখকের শেষ কথা

মোবাইল মূলত আমাদের প্রযুক্তি গত জীবনের একটি অন্যতম সঙ্গী। বর্তমান সময় আমরা প্রায় সব ক্ষেত্রেই মোবাইলের ব্যবহার করে থাকি, তাই মোবাইল সবসময় আমাদেরকে সঠিক কাজে ব্যবহার করা এর প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। আশাকরি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি মোবাইলের ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী করার উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এরকম আরো প্রযুক্তিগত বিষয় জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। আর এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 37912

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url